অব শেষে পঞ্চাইত কর্মি নিয়োগ Notice জারি করল রাজ্য সরকার।panchayat job vacancy 2024 west bengal
রাজ্যের পঞ্চায়েত, দফতরে ক্লার্ক, অ্যাকাউন্টস ক্লার্ক, এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট, গ্রাম পঞ্চায়েত সেক্রেটারি, গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী, নির্মাণ সহায়ক ও পঞ্চায়েত সমিতিতে পিওন পদে ৭,২১৬টি শূন্যপদ পূরণের অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।
নিয়োগের দায়িত্ব
নিয়োগের দায়িত্বে থাকছে জেলা শাসকের নেতৃত্বাধীন জেলা স্তরের নির্বাচন কমিটি বা, ডিস্ট্রিক্ট লেভেল সিলেকশন কমিটি (D.L.S.C.)।
নিয়োগ হবে ৩টি স্তরে: গ্রাম পঞ্চায়েত(Gram Panchayat), পঞ্চায়েত সমিতি(Panchayat Samiti) ও জেলা পরিষদে(Zilla Parishad)।
গ্রাম পঞ্চায়েত(Gram Panchayat)
গ্রাম পঞ্চায়েতে নিয়োগ হবে গ্রাম সহায়ক, নির্মাণ সহায়ক, গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী, পঞ্চায়েত সেক্রেটারি
ইত্যাদি পদে। শূন্যপদ আছে ৬,৬৫২টি।
পঞ্চায়েত সমিতি(Panchayat Samiti)
পঞ্চায়েত সমিতিতে নিয়োগ হবে ব্লক ইনফর্মেটিক্স অফিসার, ক্লার্ক, টাইপিস্ট, পিওন ইত্যাদি পদে। শূন্যপদ আছে ৫৬৪টি।
জেলা পরিষদে(Zilla Parishad)
জেলা পরিষদে নিয়োগ হবে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, গ্রুপ-ডি-সহ একাধিক পদে।
কোন্ পদে কেমন যোগ্যতা দরকার
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, মাধ্যমিক থেকে গ্র্যাজুয়েট ও ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ যোগ্যতার ছেলেমেয়েরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়স সীমা
বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তপশিলী, ও.বি.সি., প্রতিবন্ধীরা যথারীতি বয়সে ছাড় পাবেন।
প্রার্থী বাছাই
প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য প্রথমে লিখিত পরীক্ষা হবে। তাতে সফল হলে ইন্টারভিউ বা, স্কিল টেস্ট হবে।
কত দরখাস্ত নেওয়া হবে ও পরীক্ষা ফী কত থাকছে । আবেদন কীসে হবে,কবে থেকে শুরু ?
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাসক সূত্রে খবর, এ মাসেই নিয়োগ বিধি তৈরি হয়ে যাবে। তারপরই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরখাস্ত নেওয়া হবে। দরখাস্ত করতে হবে অনলাইনে(online)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে নিয়োগের জন্য এবার কোনো পরীক্ষা ফী নেওয়া হবে না। প্রায় ৩০-৩৫ লাখ দরখাস্তকারীর পরীক্ষা নেওয়া থেকে নিয়োগ পর্যন্ত যাবতীয় খরচ সরকার বহন করবে।
কোন কোন পদে লোক নেওয়া হবে ও শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন থাকা দরকার তা নিচে দেওয়া হল
গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী: কোনো স্বীকৃত স্কুল থেকে ক্লাস এইট পাশরা আবেদন করতে পারেন।
পঞ্চায়েত সেক্রেটারি পিওন: ক্লাস এইট পাশরা আবেদন করতে পারেন।
গ্রুপ-ডি: ক্লাস এইট পাশরা আবেদন করতে পারেন।
অ্যাকাউন্টস ক্লার্ক: মাধ্যমিক পাশরা আবেদন করতে পারেন। কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের ডিপ্লোমা কোর্স পাশ হলে ভালো হয়। এম.এস. ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ইন্টারনেট-সহ ১ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স পাশ হলে অগ্রাধিকার পাবেন।
ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট: মাধ্যমিক পাশরা ইংরিজি ও বাংলা টাইপিংয়ে মিনিটে অন্তত যথাক্রমে ৩০টি ও ২০টি শব্দ তোলার গতি থাকলে আবেদন করতে পারেন। এম.এস. ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ইন্টারনেট বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে।
লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট : মোট অন্তত ৫০% নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশরা আবেদন করতে পারেন। কম্পিউটার জানলে অগ্রাধিকার পাবেন।
অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ার: মোট অন্তত ৫০% নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশরা আবেদন করতে পারেন।
টাইপিস্ট (English): মোট অন্তত ৫০% নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ ও ইংরিজি টাইপিংয়ে মিনিটে অন্তত ৪০টি শব্দ তোলার গতি থাকলে আবেদন করতে পারেন।
ডাটা এন্ট্রি অপারেটর: মাধ্যমিক পাশরা ইংরিজি ও বাংলা টাইপিংয়ে মিনিটে অন্তত যথাক্রমে ৩০টি ও ২০টি শব্দ তোলার গতি থাকলে আবেদন করতে পারেন। কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটারের ৩ মাসের ট্রেনিং নিয়ে থাকতে হবে। ডাটা এন্ট্রির কাজে ঘন্টায় অন্তত ৬,০০০ কী ডিপ্রেশনে গতি থাকতে হবে।
গ্রাম পঞ্চায়েত সেক্রেটারি:
উচ্চমাধ্যমিক পাশ ছেলেমেয়েরা আবেদন করতে পারেন। কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটারের (এম.এস. ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ইন্টারনেট-সহ) ৬ মাসের ট্রেনিং নিয়ে থাকলে ভালো হয়।
গ্রাম পঞ্চায়েত-সহায়ক: যে কোনো শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাশরা যোগ্য। মোট অন্তত ৫০% নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ হলে অগ্রাধিকার পাবেন।
সমিতি এডুকেশন অফিসার: যে কোনো শাখার গ্র্যাজুয়েট বা, পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটরা বি.এড. কোর্স পাশ হলে কিংবা যে কোনো শাখার গ্র্যাজুয়েটরা কোনো প্রাইমারি বা, সেকেন্ডারি স্কুলে শিক্ষকতার কাজে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা বা, যে কোনো শাখার গ্র্যাজুয়েটরা সরকার স্বীকৃত অল্টারনেটিভ সিস্টেমে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা কিংবা যে কোনো শাখার ডিগ্রি কোর্স পাশরা ম্যানেজমেন্ট এডুকেশনে ৩ বছরের' অভিজ্ঞতা থাকলেও যোগ্য।
এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট: যে কোনো শাখার গ্র্যাজুয়েটরা কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের ডিপ্লোমা কোর্স পাশ হলে আবেদন করতে পারেন। সোশ্যাল ওয়ার্ক বা, রুরাল ডেভেলপমেন্টের ডিপ্লোমা বা, পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি কোর্স পাশ হলে ভালো হয়। সোশ্যাল ওয়ার্ক বা, রুরাল ডেভেলপমেন্টের কাজে অভিজ্ঞতা থাকলেও ভালো হয়।
অ্যাডিশনাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট: কমার্স - শাখার গ্র্যাজুয়েটরা আবেদন করতে পারেন।
ব্লক ইনফর্মেটিক্স অফিসার:কম্পিউটার সায়েন্সের অনার্স ডিগ্রি কোর্স পাশ বা, বি.সি.এ. কোর্স পাশরা আবেদন করতে পারেন। যে → কোনো শাখার ডিগ্রি কোর্স পাশরা ডোয়েক থেকে 'এ' লেভেল কোর্স পাশ হলেও আবেদনের যোগ্য। ডোয়েক থেকে 'বি' বা, 'সি' - লেভেল সার্টিফিকেট কোর্স পাশরা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইনফর্মেশন টেকনোলজি / ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিক মিডনিকে শহ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স পাশ হলেও আবেদনের যোগ্য। ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি, বি.টেক. (আই.টি.), বি.এসসি (আই.টি.) কোর্স পাশ কিংবা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বি.ই. / বি.টেক্., কম্পিউটার সায়েন্সের বি.এসসি. কোর্স পাশ কিংবা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের ডিগ্রি / মাস্টার ডিগ্রি বা, জেনারেল স্ট্রিমে বি.এসসি. ও এম.এসসি. (আই.টি.) কোর্স পাশরাও যোগ্য।
নির্মাণ সহায়ক: কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিপ্লোমা কোর্স পাশরা আবেদন করতে পারেন।
সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার: ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিপ্লোমা কোর্স পাশরা আবেদন করতে পারেন।
অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম শ্রেণির ডিগ্রি কোর্স পাশরা ২ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে আবেদন করতে পারেন।
(আরো বিস্তারিত জানতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট যান) www.wbprd.gov.in
আরও সবার আগে নূতন নূতন চাকরি খবর পেতে আমাদের WhatsApp ও teligram group যোগ দিন